চাহিদার দাম, আয়, ও আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে এবং এর সূত্র নির্ণয়।
চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা বলতে দামের শতাংশিক (%) বা আপেক্ষিক পরিবরতনের ফলে চাহিদার যে শতাংশিক বা আপেক্ষিক পরিবর্তন ঘটে তাকে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বলে । চাহিদার স্থিতিস্থাপকতাকে সাধারনত Ed অথবা Ep দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।
চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয়ের সূত্রঃ
বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ,
চাহিদা বা দাম স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে বিয়োগ বা ঋণাত্মক (-) চিহ্নকে উপেক্ষা বা বাদ করা হয় ।সাধারণত চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার মান যদি ১ এর চেয়ে কম হয় অর্থাৎ (Ep <1) হয় তাহলে দ্রব্যটি হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় । আবার, চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার মান যদি ১ এর চেয়ে বেশি হয় অর্থাৎ (Ep >1) হয় তাহলে দ্রব্যটি হবে বিলাসজাতীয় ।
চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতাঃ
ক্রেতার আয়ের শতকরা বা আপেক্ষিক পরিবর্তনের ফলে চাহিদার যে শতকরা বা আপেক্ষিক পরিবর্তন ঘটে এই দুইয়ের অনুপাতকে চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা বলে ।
বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য,
## আয় স্থিতিস্থাপকতার মাধ্যমে দ্রব্যের প্রকৃতি নির্ণয় করা যায় যেমন আয় স্থিতিস্থাপকতার মান ধনাত্মক হলে অর্থাৎ (Ey>0) হলে দ্রব্যটি হবে স্বাভাবিক বা সাধারণ ।
## আয় স্থিতিস্থাপকতার মান ঋণাত্মক হলে অর্থাৎ (Ey< 0) হলে দ্রব্যটি হবে নিকৃষ্ট বা গিফেন দ্রব্য ।
চাহিদার আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতাঃ
চাহিদার আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতার মাধ্যমে দ্রব্যের প্রকৃতি নির্ণয় করা যায় ।
## আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতার মান ধনাত্মক হলে অর্থাৎ (Ec > 0) হলে দ্রব্যগুলো হবে পরিবর্তক যেমনঃ চা, কফি ।
## আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতার মান ঋণাত্মক হলে অর্থাৎ (Ec < 0) হলে দ্রব্যটি হবে পরিপূরক যেমনঃ কালি, কলম ।
## আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতার মান শূন্য হলে অর্থাৎ (Ec = 0) হলে দ্রব্যটি হবে সম্পর্কহীন বা মুক্ত দ্রব্য যেমনঃ চাল, কলা ।